মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে রাজাকার বদরুল আলা পুত্র ‘‘টুকুন’’এর নামটি থাকা অত্যন্ত লজ্জার

স্টাফ রিপোর্টার::

গতকাল যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাশে যশোরের মুক্তিযোদ্ধাগন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড যশোর জেলা শাখার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যশোরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ‘‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল নির্মান কমিটির’’ নেমপ্লেটে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত রাজাকার বদরুল আলা পুত্র ‘‘জাহিদ হাসান টুকুন’’এর নামটি থাকা সকল মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের সকলের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর। যেখানে যেখানে নাম ফলকে স্বাধীনতা বিরোধী কারও নাম থাকবে তা মুছে দেওয়া হবে। স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার ও বিতর্কিত সকলকে যশোরের প্রশাসনের অনুষ্ঠানে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানে অবাধ চলাচলের প্রতিবাদ জানান তারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এএইচএম মুজহারুল ইসলাম মন্টু বলেন, যশোরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ‘‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল নির্মান কমিটির’’ নেমপ্লেটে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সাথে সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত রাজাকার বদরুল আলা পুত্র ‘‘জাহিদ হাসান টুকুন’’এর নামটি থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাস্কর। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ঠদেরকে টুকুনের নামটি মুছে ফেলবার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এই চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সদস্য’র সাথে আমাদের নামটি থাকায় আমরা সকলে কলঙ্কিত হচ্ছি। যেখানে যেখানে নাম ফলকে স্বাধীনতা বিরোধী কারও নাম থাকবে তা মুছে দেওয়া হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতার পরে এই রাজাকার পুত্র ‘‘টুকুন’’ প্রশাসনের পা চাটা দালাল হিসেবে প্রশাসনের কাছে একটি গ্রহনযোগ্য অবস্থানে যেয়ে তিনি তার অবস্থান আরো শক্ত করে চলেছে। এই কারণে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যেমন কলঙ্কিত হচ্ছি তেমন কলঙ্কিত হচ্ছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার মোঃ আলী স্বপন বলেন, রাজাকারের প্রেতাত্মারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিয়ন্ত্রন করে, তারা হাস্যজ্জ্বল হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ঘুরে বেড়াই। তখন আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের মাথা নিচু হয়ে যায়। দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একরামুদৌলা বলেন, এই সকল বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স এর উপপ্রধান রবিউল আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্বাধীনতা বিরোধী সকল শক্তিকে রুখে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সহকারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সবুর হেলাল ও যশোরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শ্রেণীর সাধারণ মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com